মুখ্য ঘটনাগুলি:
- মুইজ্জু স্পষ্ট করে বলেছেন যে তার সরকার ভারতের সাথে সামুদ্রিক সমীক্ষা চুক্তিতে আর এগোবে না।
- মালদ্বীপ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ের পরিকল্পনা করছে।
- মুইজ্জু জানিয়েছেন যে চলতি মাসেই দ্বীপরাষ্ট্রের এক্সক্লুসিভ ইকনমিক জোনের নিরাপত্তার জন্য একটি বিশেষ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা তৈরি করা হবে।
- মুইজ্জু ভারতকে ১০ মে'র মধ্যে দ্বীপরাষ্ট্র থেকে সেনা প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বিস্তারিত:
মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু ভারত বিরোধিতার সুর আরও চড়া করেছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে তার সরকার ভারতের সাথে সামুদ্রিক সমীক্ষা চুক্তিতে আর এগোবে না। মুইজ্জু বলেছেন যে মালদ্বীপ নিজেই প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি কিনবে এবং নিজেদের জলসীমায় সমীক্ষা চালাবে।
মুইজ্জু আরও জানিয়েছেন যে চলতি মাসেই দ্বীপরাষ্ট্রের এক্সক্লুসিভ ইকনমিক জোনের নিরাপত্তার জন্য একটি বিশেষ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা তৈরি করা হবে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা জলসীমায় গতিবিধির উপর নজর রাখা সম্ভব হবে।
মুইজ্জুর এই ঘোষণা ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন টানাপোড়েনের সূচনা করতে পারে। মুইজ্জু ভারতকে ১০ মে'র মধ্যে দ্বীপরাষ্ট্র থেকে সেনা প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
প্রেক্ষাপট:
মালদ্বীপের সাথে ভারতের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কারণে এই সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে।
মুইজ্জু একজন চীনপন্থী নেতা। তিনি চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করেছেন এবং সম্প্রতি চীনের সাথে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা:
মুইজ্জুর ঘোষণার ফলে ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ভারত এই পরিস্থিতি সমাধানের জন্য কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ